মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার ইতিহাস
১৯৮৭ইং সনের মার্চ মাস, স্থানীয় যুবক মোঃ আমজাদ হোসেন এর নেত্বত্বে জহির উদ্দিন ও বিরাজ উদ্দিন এদের ও অন্যানদের নিয়ে বর্তমান মাদ্রাসা মসজিদের পশ্চিম পার্শ্বে একটি মক্তব নির্মাণ করিবার জন্য স্থানীয় দের নিকট হইতে ৪০/৫০টির মত বাঁশ ওঠায়ে তাহা অত্র এলাকার প্রবীণ হিতৌশষ পীরে কামেল হযরত শাহ্ ইসমাইল হোসেন ওয়ায়সী (রঃ) এর বাড়ীর সম্মুখে রাখা হয়। তিনি তখন কিছুদিন পুর্বে উক্তস্থানে নতুন বাড়ী নির্মান করেন এবং মানিকগঞ্জ গালর্স হাইস্কুল রোড,তার নিজস্ব বাড়ী বায়তুল আমানে বসবাস করেন। এপ্রিল ৮৭ইং মাসে তিনি তার এই গ্রামের বাড়ীতে এসে আমজাদ হোসেন কে তলব করেন এবং বাঁশ উত্তোলনের কারণ জানতে চান। ইহাতে আমজাদ হোসেন অত্র এলাকার ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের আরবী পড়াশুনার জন্য একটি মক্তব নির্মানের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। তিনি আমজাদ হোসেনের অভিপ্রায় শুনে অত্যামত্ম খুশি হন। উলেস্নখ্য যে, তিনিই অত্র এলাকার একমাত্র ব্যক্তি, যিনি তার জীবনের সবকিছুই মানুষের কল্যানের জন্য কাজ করেছেন। তিনি তখন আমজাদ হোসেনকে আশ্বসত্ম করেন যে, আচ্ছা তোমরা মক্তবের জন্য আগেই কোন সিদ্ধামত্ম নিও না, আমি দেখছি তোমাদের জন্য কি করা যায়। এখানে উলেস্নখ্য যে, মোঃ আমজাদ হোসেন তার চাচাতো বড় ভাইয়ের নাতী, এবং তারই সুপারিশে আমজাদ হোসেন, তার স্নেহধন্য ছোট নাতিন জনাবা দিলারা মোসত্মফা বেগমের স্বামী জনাব মোসত্মফা কামাল মহিউদ্দিনের ব্যক্তিগত সহকারী হিসাবে ৫৫দিলখশা বানিজ্যিক এলাকা-ঢাকায় কর্মরত ছিলেন। প্রতি বৃহস্পতিবারে বাড়ী আসতেন আমজাদ এবং জীবনের সব কিছুই তার আর্বতে চলিত।
পীরে কামেল হযরত মাওলানা শাহ্ ইসমাইল হোসেন ওয়ায়সী(রঃ) অতপর তার নিজের বক্তব্য অনুযায়ী আমার অমত্মরের তিনটি টুকড়া (১) জনাবা আলহাজ্ব আফরোজা বেগম(২) জনাব মাহবুব মোর্শেদ হাসান(রম্ননু মিয়া)(৩) জনাবা দিলারা মোসত্মফা এবং অত্যামত্ম আদর , স্নেহধন্য বড় নাতিন জামাতা, আলহাজ্ব আহমদ আকবর সোবহান সাহেব। তিনি তার বড় নাতিন জামাতা আলহাজ্ব আহমদ আকবর সোবহান সাহেব ও অমত্মরের নীধি আলহাজ্ব আফরোজা বেগম(চাতক মনি) এবং একমাত্র নাতি জনাব মাহবুব মোর্শেদ হাসান সাহেব(রম্ননু মিয়া) এই তিন জনের সাথে আলাপ আলোচনা করিয়া এই খাগ্রাটা মৌজায়, তার প্রিয় জন্মভহমিতে একটি মাদ্রাসা নির্মান করিবার ইচ্ছা পোষন করেন।( উলেস্নখ্য যে, তৎকালিন মানিকগঞ্জ মহুকুমায়ু ঘিওরে - ঘিওর ডিগ্রী কলেজ,ঘিওর গার্লস হাইস্কুল, ঘিওর বন্দর মসজিদ, ও থানা মসজিদ তারই একমাত্র অবদান। ইহা ছাড়া সাটুরিয়া থানাতে সাটুরিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, এবং থানা মসজিদ ও বাজার মসজিদ আজ ও তার কালের স্বাক্ষী বহন করছে্ ইহা ছাড়া তিনি বায়ড়া জামে মসজিদ, ও সিংজুরী প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেন)অতপর তার বাড়ী সংলগ্ন তারই দেয় জমিতে, তার অমত্মরের চাতক মনি কর্তৃক দেয় টিন,কাঠ, ও অন্যান্য খরচাদি দিয়ে জনাব মাহবুব মোর্শেদ হাসান সাহেবের সার্বিক তত্বাবধানে মোঃ মাজহারম্নল ইসলাম(ঝিলু মিয়া)এবং মোঃ হাবিব মিয়া মাদ্রাসার প্রথম গৃহটি ১০০র্ফুট লম্বা ১০র্ ফুট চালের খুব সুন্দুর একটি গৃহ ডিসেম্বরের শেষার্ধেনির্মাণকাজ শেষ করেন। সর্ব প্রথম বিশ জোড়া বেঞ্চ,পাঁচটি টেবিল, একটি আলমারী একটি বেল ও পাঁচটি বস্নাকবোর্ড সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো তৈরী করা হয়।
এরপর জানুয়ারী/৮৮ইং মাসে রোজ শুক্রবার সন্ধায় পীরের বাড়ীতে (পিতা পুত্র উভয়কে নিয়ে)আমজাদের পিতা মোঃ হাফিজ উদ্দিন (তার ২য় তম শিষ্য এবং ভাতিজা)এর নিকট তার পুত্র কে চাওয়া হয়। তিনি স্বইচ্ছায় তার পুত্রকে তার কাজে লাগানোর অভিমত ব্যক্ত করেন। অতপর আশপাশের গ্রামের চেয়ারম্যান,মেম্বার,ও মুরম্নবিব সহ অনেক লোকের সভা আহবান করেন এবং সকল কে অত্র মাদ্রাসায় ছেলেমেয়ে দের পড়াশুনার তাগিদ প্রদান করেন।
পীরে কামেল হযরত মাওলানা শাহ্ ইসমাইল হোসেন ওয়ায়সী(রঃ) এর সভাপতিত্বে অত্র মাদ্রাসাটি তার স্নেহধন্য নাতিন জামাতা আলহাজ্ব আহমদ আকবর সোবহান সাহেবের নাম অনুসারে এবং খাগ্রাটা মৌজায় অবস্থিত বলে অত্র মাদ্রাসাটির নাম বৈকুন্ঠপুর খাগ্রাটা আহমদীয়া দাখিল মাদ্রাসা নামকরন করা হয়। প্রথমার্ধে মাদ্রাসা গৃহের মাঝামাঝি নাক বারান্দায় শুধুমাত্র মাদ্রাসার একটি মাত্র সাইনবোর্ড ছিল।
মাদ্রাসায় সর্বপ্রথম মোঃ আমজাদ হোসেন প্রয়ো্জনীয় কাগজপত্র ক্রয় করিয়া এবং তাহার সহকারী মোঃ তোমিজ উদ্দিন, এবং আরবী পাঠদানের জন্য মোঃ শওকত আলী, ও মৃত সামেজ উদ্দিনের বিবি,মানু বেগমকে নিয়োগদান করা হয়। অতপর পরবর্তিতে মোঃ গিয়াস উদ্দিন, মোঃ আব্দুল হামিদ, মোঃ মিজানুর রহমান (পান্নু) এবং পরবর্তিতে মোঃ সোলায়মান হোসেন সিদ্দিকী সাহেবকে সুপার হিসাবে নিয়োগদান পুর্বক সরকারী বিধী অনুযায়ী অন্যান্য শক্ষক/কর্মচারী নিয়োগদান করা হয়।
১৯৯৩ইং সনে প্রতিষ্ঠানটি দাখিল মাদ্রাসা হিসাবে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক একাডেমিক অনুমতি,এবং ১৯৯৫ইং সনে প্রথম স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়। অতপর ১৯৯৫ইং সনের ০১/০৫/১৯৯৫ইং তারিখ হইতে মাদ্রাসাটি সরকারী এম,পি,ও,ভুক্তি লাভ করে।
পরবর্তিতে ২০০২ইং সনে মাদ্রাটি দাখিল বিজ্ঞান শাখা খোলা হয়,এবং ২০১৩ইং সনে মাদ্রাটিতে কম্পিটার শাখা খোলার জন্য আবেদন করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা লগ্ন হইতে অদ্যাবদি মাদ্রাসার একমাত্র দাতা, জনাবা আলহাজ্ব আফরোজা বেগম এর দানে শিক্ষক/কর্মচারীদের বেতন সহ প্রতিষ্ঠান পরিচালনার যাবতীয় খরচ তিনিই বহন করিয়া আসিতেছেন। ১৯৯৫ইং সন হইতে পাবলিক পরীক্ষায় গুনগত ও সংখ্যাগত মানে জেলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিবেচিত অত্র প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ২০১৪ইং সনে ঘিওর উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসাবে সনদ প্রাপ্ত।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ১০ সদস্য বিশিষ্ট ম্যানেজিং কমিটি, এবং ১৯জন শিক্ষক/কর্মচারী রহিয়াছে। মাদ্রাসাটির সার্বিক তত্বাবধানে মোঃ আমজাদ হোসেন, যিনি বর্তমানে সিনিয়র শিক্ষক হিসাবে কর্মরত।
প্রতিষ্ঠানটির সাফল্যে আমরা সকলের সহযোগিতা ও আর্শিবাদ কামনা করি।
বর্তমান পরিচালনা কমিটির তথ্য
ক্রমিক নং | নাম | পদবী | মোবাইল নম্বর |
০১ | জনাবা আলহাজ্ব আফরোজা বেগম | সভাপতি (দাতা) | ০২৮৮৪৫২০০ |
০২ | জনাব মাহবুব মোর্শেদ হাসান(রম্ননু) | শিক্ষানুরাগী | ০২৯৮৪১৬৮২ |
০৩ | মোঃ সোলায়মান হোসেন সিদ্দিকী | সুপার | ০১৭১৮২৬৮৬৭২ |
০৪ | মোঃ আমজাদ হোসেন | শিক্ষক প্রতিনীধি | ০১৭১৫৯৮৬৫৪৭ |
০৫ | মোঃ তোমিজ উদ্দিন | শিক্ষক প্রতিনীধি | ০১৭৬৫৩৮৬৪২৮ |
০৬ | মোঃ নাজিম উদ্দিন | অভিভাবক সদস্য | ০১৭১৪৭০২৬১০ |
০৭ | মোঃইনছান উদ্দিন | অভিভাবক সদস্য | ০১৬২০৩৪৮৮৫৮ |
০৮ | মোঃ আমজাদ মন্ডল | অভিভাবক সদস্য | ০১৭১১৫১৩৮৪২ |
৯ | মোঃ ইসমাইল হোসেন | অভিভাবক সদস্য |
|
১০ | সালমা রহমান | অভিভাবক সদস্য | ০১৭২৪৩৯৭৯১৮ |
বিগত ৫ বছরের ফলাফল
পরীক্ষার নাম | সাল | মোট | পাশ | পাশের হার | পরীক্ষার নাম | সাল | মোট | পাশ | পাশের হার | পরীক্ষার নাম | সাল | মোট | পাশ | পাশের হার | |
এবতেদায়ী | ২০১০ | ২৮ | ২২ | ৭৯% | জেডিসি | ২০১০ | ৩৬ | ২৪ | ৭১% | দাখিল | ২০১০ | ৩৩ | ২৩ | ৭০% | |
| ২০১১ | ৩৮ | ৩৬ | ৯৫% |
| ২০১১ | ৭৬ | ৫৮ | ৭৬.৩২% |
| ২০১১ | ৫৫ | ৫১ | ৯৩% | |
| ২০১২ | ৩৩ | ২৪ | ৭৩% |
| ২০১২ | ৬৬ | ৬২ | ৯৪% |
| ২০১২ | ৪৩ | ৪০ | ৯৩.% | |
| ২০১৩ | ৩৪ | ৩৪ | ১০০% |
| ২০১৩ | ৩৮ | ৩৭ | ৯৭.৩৭% |
| ২০১৩ | ৩১ | ২৬ | ৮৪% | |
| ২০১৪ | ২৬ | ১৫ | ৫৮% |
| ২০১৪ | ৩৪ | ৩৪ | ১০০% |
| ২০১৪ | ৫৯ | ৫৩ | ৯০% | |
দাখিল ২০১৪ ইং সনে পাবলিক পরী্ক্ষার ফলাফল ঘিওর উপজেলার অন্যতম শ্রেষ্ট প্রতিষ্ঠান হিসাবে পুরস্কার প্রাপ্ত ।
পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল উন্নতি করা এবং আলিম শ্রেণী খোলা ।
মানিকগঞ্জ জেলা থেকে রিকশা/টেম্পু যোগে উত্তর পশ্চিম দিকে ৮ কিলোমিটার দুরে মাদ্রাসা অবস্থিত ।
১০ম শ্রেণী ৪ জন, ৯ম শ্রেণী ৩ জন, ৮ম শ্রেণী ৫ জন, ৭ম শ্রেণী ৭ জন, ৬ষ্ট শ্রেণী ৫জন, ও ৫ম শ্রেণীতে ৪ জন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস