মানিকগঞ্জ জেলার অন্তর্গত ঘিওর উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নে মৌহালী এম বি এস ক্লাবটি অবস্থিত। ১৯৬৫ সালে এলাকার গণমান্য ও হিতৈষি ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে এলাকার সার্বিক সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষার উন্নয়ন কল্পে একটি সভা আহ্বান করে। উক্ত সভায় মৌহালী, বাগজান ও সারাশিন গ্রামের যুবকদের নিয়ে একটি সংগঠন করার প্রস্তার আসে। উক্ত সভায় মৌহালী এম বি এস ক্লাব নামে একটি সংগঠন সর্বসম্মতিক্রমে গঠন করা হয়। ক্লাবটিতে ৬৫ জন সাধারন সদস্য এবং ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়। প্রতিটি সদস্যকে মাসিক চাঁদা বাধ্যতামূলক করা হয়। এক পর্যায়ে মাসিক চাঁদার টাকা দিয়ে এলাকার যুবকদের খেলাধুলার জন্য একটি জমি ক্রয় করে একটি খেলার মাঠ তৈরি করা হয়। কিছুদিন পর আরও বেশ কিছু কৃষি জমি ক্রয় করে বর্গা চাষ দেওয়া হয়। মাসিক চাঁদা এবং কৃষি জমি হতে অর্জিত টাকা দিয়ে আরও জমি ক্রয় করা হয়। বর্তমানে ক্লাবের মোট স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ৩৪৯ শতাংশ এবং এর বাইরেও ৭৪ শতাংশ জমি লিজ নেওয়া আছে। ১৯৭৪ সালে তৎকালীন ঘিওর ও দৌলতপুররের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব আবু মোঃ সায়েদুর রহমানের একান্ত প্রচেষ্টায় ক্লাবটি নিবন্ধিত হয়। উক্ত ক্লাবের মাধ্যমে গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। বাল্য বিবাহ, যৌতুক প্রথা প্রতিরোধেও ক্লাবটি কাজ করে। অত্র এলাকার সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে ১৯৮৫ সালে ক্লাবের নিজস্ব জায়গায় একটি বাজার নির্মান করে এবং ১০ শতাংশ জমি মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকারকে দেওয়া হয়। বর্তমানে বাজারটিতে ৫৩টি দোকান রয়েছে যার সবগুলোরই মালিকানা ক্লাবের। বাজারের জন্ম লগ্ন থেকে অদ্যবধি কোন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হয়নি। অত্র এলাকার সাধারন শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুবিধার্থে ১৯৯০ সালে ক্লাবের নিজস্ব জায়গায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে ১০০ শতাংশ জমি বিদ্যালয়ের নামে ওয়াকফ করে দেয়। যা মৌহালী উচ্চ বিদ্যালয় নামে পরবর্তীতে এমপিও ভুক্ত হয়েছে। ক্লাবটির মাধ্যমে প্রতিবছর ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, হা-ডু-ডু, দাবা সহ বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতযোগিতা আয়োজিত হয়। ক্লাবটির নিজস্ব জায়গায় একটি মসজিদ ও একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুল রয়েছে। বর্তমানে ক্লাবের মোট সদস্য সংখ্যা ৯৪ জন এবং ১৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কার্যকরী কমিটি দ্বারা ক্লাবটি পরিচালিত হচ্ছে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS